Wednesday, January 8, 2014
SC Exam-2014 Preparation Sub: ব্যবসায় পরিচিতি
SSC Exam-2014 Preparation
Sub: ব্যবসায় পরিচিতি
জ্ঞান ও অনুধাবন প্রশ্ন অংশ-৬
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ ব্যবসায়
পরিচিতি থেকে জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
দেওয়া হলো।
অধ্যায়-১০
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
প্রশ্ন: বিমা কেন করা হয় বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: মানুষ সবকিছুকে জয় করতে পারলেও
কখনো মৃত্যুকে জয় করতে পারেনি। যেকোনো সময়
তার জীবনের প্রদীপ নিভে যেতে পারে।
তা ছাড়া বিভিন্ন রোগব্যাধি, দুর্ঘটনা, বার্ধক্য
ইত্যাদি ভর করতে পারে। তার ব্যক্তিগত সম্পদ ও
ব্যবসায়-বাণিজ্য বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত
হতে পারে। যার ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন
হতে পারে। এসব ঝুঁকি থেকে আর্থিক-সহায়তা পাওয়ার
জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিমা করে থাকে।
প্রশ্ন: ‘বিমা চুক্তি পরম বিশ্বাসের চুক্তি’—উক্তিটি
ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আইন অনুযায়ী বিমা চুক্তিকে পরম বিশ্বাসের
চুক্তি বলা যায়। এরূপ চুক্তির ক্ষেত্রে বিমাকারী ও
বিমাগ্রহীতার মধ্যে সদ্বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত
হয় এবং পক্ষগুলো একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত
আচরণ করতে বাধ্য থাকে। বিমা চুক্তিকে পরম
বিশ্বাসের চুক্তি হিসেবে গণ্য করার অর্থ হলো,
বিমাগ্রহীতা বিমা চুক্তি করার সময়ে এর বিষয়বস্তু
সম্পর্কে যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
জানা আছে তা বিমাকারী বা ঝুঁকি গ্রহণকারীর
কাছে সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে বাধ্য
থাকে।
প্রশ্ন: বিমা কীভাবে ঝুঁকির নিশ্চয়তা প্রদান করে?
উত্তর: বিমা ঝুঁকি বণ্টন ও ক্ষতিপূরণের এক সমবায়
ব্যবস্থা। বিমাকারী বিমাগ্রহীতার কাছ থেকে নির্দিষ্ট
প্রিমিয়াম নিয়ে থাকে, যার প্রতিদান
হিসেবে বিমাগ্রহীতার ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে।
সুতরাং বলা যায়, বিমাকারী নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের
বিনিময়ে বিমাগ্রহীতার ঝুঁকির নিশ্চয়তা প্রদান
করে থাকে।
প্রশ্ন: বিমাকে কী ঝুঁকি বণ্টনের ব্যবস্থা বলা যায়?
উত্তর: মানুষের জীবন ও সম্পত্তির
ঝুঁকি আর্থিকভাবে মোকাবিলার ব্যবস্থা হলো বীমা।
সম্ভাব্য বিপদে একই ঝুঁকির সম্মুখীন অনেক
ব্যক্তি সাধারণ একটা তহবিল গঠনপূর্বক যদি কেউ
ওই বিপদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা পূরণের প্রয়াসের
মধ্য দিয়েই গ্রিক সভ্যতাকালে বিমা ব্যবস্থার
ধারণা বিকশিত হয়। ঝুঁকি বণ্টনের এ সহযোগিতামূলক
ধারণা পরবর্তীকালে বিমা ব্যবসায়ের উদ্ভব ঘটিয়েছে।
যে কারণে বিমাকে ঝুঁকি বণ্টনের ব্যবস্থা বলা যায়।
প্রশ্ন: অগ্নি বিমাপত্রের দুটি শর্ত বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: অগ্নি বিমাপত্রের দুটি শর্ত
নিচে দেওয়া হলো—
১. চূড়ান্ত সদ্বিশ্বাস অগ্নি বিমা চুক্তির
একটি অন্যতম প্রদান শর্ত। বিমাকারী ও
বিমাগ্রহীতা পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের
সঙ্গে একে অন্যের কাছে বিমা চুক্তির শর্তাবলি ও
বিষয়বস্তুর খুঁটিনাটি প্রকাশ করার পর
বিমা চুক্তি কার্যকর হবে। অন্যথায় তা বাতিল
বলে গণ্য হবে।
২. বিমার বিষয়বস্তুতে বিমাগ্রহীতার যে শেষ স্বার্থ
থাকে, তাকে বিমাযোগ্য স্বার্থ বলে। বিমাযোগ্য
স্বার্থ না থাকলে ওই বিষয় বিমা করা যায় না।
আমি..........................
Labels:
Education
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment